দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসেও সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশের সিনেমা হাওয়া, চার দিনে আমেরিকা ও কানাডায় এ চলচ্চিত্র আড়াই কোটি টাকা আয় করেছে বলে জানিয়েছে পরিবেশক সংস্থা।
সিনেমাটির আন্তর্জাতিক পরিবেশক সংস্থা স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর প্রেসিডেন্ট সজীব সপ্তক বুধবার এক ফেইসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সের টিকেট বিক্রির হিসাব দিয়ে সেখানে তিনি লিখেছেন, “উত্তর আমেরিকায় মুক্তির চার দিনের মাথায় আমেরিকা ও কানাডা থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ ডলার আয় করেছে হাওয়া।”
সেই সঙ্গে ইউএস টপ চার্টে সেরার তালিকায় হাওয়া ২৭তম অবস্থানে উঠে এসেছে বলে সপ্তকের ভাষ্য।
তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবে ‘হাওয়া’ ইউএস টপ চার্ট-এ জায়গা করে নিয়েছে! জি, আপনি ঠিক পড়ছেন। ব্যবসার শক্তি দিয়ে আমাদের সিনেমা পৃথিবীর এক নম্বর টপ চার্ট এ ঢুকে পড়েছে। তাও আবার সেরা ৩০-এ!
“খুবই অবিশ্বাস্য লাগছে, তাই না? আমারও বেশ সময় লেগেছে বিশ্বাস করতে। কিন্তু, এ ঘটনাটি ঘটে গেছে। বাংলাদেশের একটি সিনেমা এ ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলেছে।”
আমেরিকার মাটিতে আয়ের হিসাব তুলে ধরে তিনি লিখেন, “প্রথম চার দিনে (লেবার ডে লং উইকেন্ডে) ‘হাওয়া’র গ্রস বক্স অফিস কালেকশন ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ ডলার। কানাডায় ৮৬,৩১২ ডলার, আমেরিকায় ১২৭,১৪৯ ডলার।”
দর্শকের হিসাব দিয়ে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, এখন পর্যন্ত হাওয়া দেখে ফেলেছেন ২৫ হাজার ৪৪৪ জন। এর মধ্যে কানাডায় দেখেছেন ৯ হাজার ৯৩০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে দেখেছেন ১৫ হাজার ৫১৪ জন।
“বাংলাদেশি সিনেমা বিবেচনায় এই সংখ্যা যে কত বিশাল, তা বুঝতে পারবেন, যখন উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয় করা বাংলাদেশি সিনেমা ‘দেবী’র আয়ের সঙ্গে একে মেলান।
চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান অভিনীত সিনেমাটি মাস পেরিয়ে এখনও চলছে বাংলাদেশের বিভিন্ন হলে।
স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর প্রেসিডেন্ট সজীব সপ্তক বলেন, প্রথম ভারতীয় সিনেমা হিসেবে ইউএস টপ-১০ এ ঢুকেছিল ‘থ্রি ইডিয়টস’। মুক্তির পর প্রথম উইকেন্ডে ৯ নম্বরে ছিল সিনেমাটি।
“আমরা এখন আছি ২৭ নম্বরে, মানে টপ ৩০-এ। আমাদের এরপরের টার্গেট টপ-২০, তারপর টপ-১০। একটা যখন হয়ে গেছে, বাকিগুলোও হয়ে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”